এক সময় জবাকুসুম তেল (Hibiscus Oil) ছিল বঙ্গনারীর কেশশোভার রহস্য৷ চুলের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও জবাফুল খুবই উপকারী৷ যদিও আমরা ভুলতেই বসেছি বহুল প্রচলিত এই ফুলের ভেষজ এবং ব্যবহারিক অন্যান্য দিক (health benefits of hibiscus flower)৷ ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক যৌগ, অ্যান্টোসায়ানিন, ফ্যাটি অ্যাসিড-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানে ভরপুর জবাফুল চুলে কেরাটিনের যোগান দেয়৷ ফলে চুল ভঙ্গুর হয় না৷ চুলের ঘনত্ব ঠিক থাকে৷ নতুন চুল জন্মাতে সাহায্য করে৷ চুল মোলায়েমও থাকে জবাফুলের নির্যাসে৷

পান করুন জবাফুলের চা বাজারচলতি শ্যাম্পু চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা হরণ করে৷ ফলে চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে৷ এই সমস্যায় জবাফুল ও পাতা চুলে কন্ডিশনারের কাজ করে৷ নির্জীব চুলে আবার প্রাণ ফিরে আসে৷ নতুন চুল জন্মাতে সাহায্য করে বলে যাঁদের চুল পাতলা হতে শুরু করেছে বা ইতিমধ্যেই ইন্দ্রলুপ্ত দেখা গিয়েছে, তাঁরা জবাফুল ব্যবহার করতে পারেন৷ কোনও ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকায় এই সমাধান সবার পক্ষেই নিরাপদ৷

সঙ্গী হোক এই ঘরোয়া টোটকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন থাকায় জবাফুল কার্যকর মেলানিন যোগানের ক্ষেত্রেও৷ অকালপক্বতা রোধ করে চুলের স্বাভাবিক রং ধরে রাখে জবানির্যাস৷ জবাফুল ব্যবহার করতে পারেন ফেসমাস্কের উপকরণ হিসেবেও৷ একে বলা যায় ‘মিরাকল ফ্লাওয়ার’৷ অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকার ফলে জবাফুলের প্রলেপ আপনার ত্বককে ধুলোবালি, দূষণ, অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়৷

মেনে চলুন এই নিয়মগুলি জবাফুল প্রাকৃতিক স্ক্রাবারও৷ ত্বকের মৃত কোষ ঝরিয়ে ঝলমলে রূপ দেয় এই ফুল৷ ত্বক থেকে বয়সের দাগছোপ মুছে গিয়ে ধরা পড়ে উজ্জ্বল প্রাণবন্ত রূপ৷ প্রাকৃতিক স্যাপোনিন এবং অর্গানিক অ্যাসিড থাকার ফলে জবাফুল ক্লেঞ্জার হিসেবেও খুব ভাল৷ সব সময় হাতের কাছে তাজা ফুল না পাওয়া গেলেও সমস্যা নেই৷ টাটকা জবাফুল শুকিয়ে নিন৷ তার পর গুঁড়ো করে রেখে দিন৷ সেটাই কাজ করবে ক্লেঞ্জার হিসেবে৷